সুন্দরবনের ৬৬৫টি পয়েন্টে বসানো হচ্ছে দুইটি করে ক্যামেরা। যা ধারণ করবে বনের ভেতরে থাকা বাঘের ছবি। ক্যামেরাগুলোত থাকবে ৪০ দিন।

বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে, ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘশুমারি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কালাবগি ফরেস্ট অফিস এলাকায় ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে এ শুমারির উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, ৬৬৫ গ্রিডে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রতিটি গ্রিডের দুই পাশে দুটি ক্যামেরা থাকবে। এমনভাবে ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে, বাঘ বা যেকোনো পশু গেলে সেসময় ছবি উঠবে।

শুধু ছবিই নয়, স্থান, কাল ও টেম্পারেচারও উঠবে। একটি প্রাণী যখন পার হবে, সবকিছু একইসঙ্গে উঠে যাবে, এমনকি ১০ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণ হবে। ৪০ দিন একই জায়গায় এই ক্যামেরা থাকবে। ১৫ দিন পর পর ক্যামেরা চেক করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের মোট ৬৬৫ স্পটে ক্যামেরা বসানো হবে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০০, খুলনা রেঞ্জে ১৪০, শরণখোলা রেঞ্জে ১৮০, চাঁদপাই রেঞ্জে ১৪৫টি ক্যামেরা থাকবে। প্রতিটি গ্রিডে একজোড়া ক্যামেরা বসানো হবে।

বিলুপ্তি ঠেকানোর পাশাপাশি বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য শুমারি খুবই জরুরি বলছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এম এ আজিজ।

আগামী এপ্রিল পর্যন্ত সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে হবে বাঘ গণনা। আর নভেম্বর থেকে চার মাস শুমারি হবে শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে। সুন্দরবনের অভয়ারণ্য ও এলাকার বাইরেও পর্যায়ক্রমে হবে জরিপ। ২০১৮ সালে করা সবশেষ শুমারিতে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১১৪টি।